পর্ব- ৩
“সবই তো শুনলে।“
“হুম।“
“আমি কিচ্ছু বুঝতে পারছি না।“
“তুমি কী চাও সেটা তোমাকেই খুঁজে বের করতে হবে।“
“সেটা আমি বুঝতে পারছি কিন্তু খুঁজে তো বের করতে পারছি না।“
“এরকম বললে চলবে না ঋত্বিকা। ভাবো, আরো ভাবো। দাঁড়াও আয়নার সামনে। জিজ্ঞেস করো নিজেকে। প্রশ্নবিদ্ধ করে ঝাঁঝরা করো নিজেকে। উত্তর খুঁজে বের করো । আমাদের বিয়ের আর বেশিদিন বাকি নেই ঋত্বিকা!”
এমন সময় কেঁদে ফেলে ঋত্বিকা। দু’হাত দিয়ে মুখ ঢেকে ফেলে সে। একটুক্ষণ পর ঋত্বিকার হাতে একটা কয়েন দেয় অয়ন। আর বলে,”টস করো, যার নাম পরবে তার কাছে ফিরে যাবে।“ঋত্বিকা অবাক হয়ে বলে, ”ছেলেমানুষি এটা! পারব না আমি!”
“At least এটা তো খুঁজে বের করা উচিৎ যে মন থেকে তুমি কাকে চাও!”
“আমি তোমাকে চাই।“
“কিছু মনে করো না please. এ বিষয়ে আমার doubt হচ্ছে।“
“কেন? তোমাকে না চাইলে সে কথা তোমায় বলে দিতাম। এমনকি আলাপকে চাই এ কথাও তোমায় বলে দিতাম।“
“আমি জানি। তাহলে আমায় একটা কথা বলো। তুমি আলাপকে চাও না – আমাকে চাও। তাহলে তুমি কাঁদছ কেন?”
“জানি না। কিচ্ছু জানি না আমি।“
এক অস্বস্তিকর নীরবতা। কারোরই কাউকে কিছু বলার নেই। নীরবতা ভাঙল অয়ন।
“দেখ ঋত্বিকা, আমি তোমাকে ভালবাসতে পেরেছি কি না জানি না। তবে চেয়েছিলাম; এখনো চাই। কিন্তু আজকের পরিস্থিতি to be honest আমার মনে সন্দেহ জাগিয়ে দিয়েছে। এরকম অবস্থায় তোমার সাথে নতুন জীবন শুরু করাটা কতটা ঠিক সে প্রশ্ন এসে হাজির হয়েছে। আমার মনে হয় না আমাদের এখন বিয়েটা করা উচিত। তোমার আরো সময়ের প্রয়োজন।“
“তুমি কি বলছ এগুলো! “
“আমরা সবাই স্বার্থপর। আমার নিজের আর তোমার স্বার্থের কথা ভেবেই বলছি। এখন সময় নেওয়ার সময়। সময় না নিলে ভুল হয়ে যাবে – বড় ভুল হয়ে যাবে।“
“তোমাকে আমি ভরসা করি অয়ন। তুমি ভেবে বলছো তো?”
“হ্যাঁ, ঋত্বিকা। আমি ভেবেই বলছো।“
“ঠিক আছে। কিন্তু বাড়ি?”
“ওটা তুমি আমার উপর ছেড়ে দাও।“
সত্যিই ঋত্বিকার সময়ের প্রয়োজন ছিল। আর সেটা যে অয়ন বুঝতে পেরেছে তার জন্যে অয়নের কাছে বরাবরের মতো অশেষ কৃতজ্ঞ সে। কিন্তু বিয়েটা ভাঙ্গার জন্যে অয়ন যে কি করবে তা সে ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারে না। বিয়েটা শেষমেশ ভেঙ্গেই যায়। দুই পরিবার এমনকি অয়ন আর ঋত্বিকার মধ্যেও কোন যোগাযোগ থাকে না। ঋত্বিকা সুযোগ পায় আর একবার আলাপের কথা ভেবে দেখার।
Very nice….carry on Kakuuu
LikeLike
Thank you 😍
LikeLike